এন.সি জুুয়েল।।
আসন্ন দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার চান্দিনা পৌর নির্বাচনে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়। সোমবার (১১ জানুয়ারী) সকাল সোয়া ১১টায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছায়কোট এলাকায় ওই সংঘর্ষ ঘটে।
আহতরা হলেন- নৌকা প্রতীক সমর্থিত ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছায়কোট এলাকার আবুল কালাম (৪০), একই এলাকার নুরুল ইসলাম (৩৮), আল-আমিন (৩০), মাহাবুব (৩০), আলী হোসেন (৪৫), আবুল হাসেম (৩২), শহীদুল ইসলাম (২৫) এবং জগ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থিত হারং এলাকার শরীফুল ইসলাম (২০), রাসেদুল ইসলাম (২৮), মো. সোহান (১৬), শামীম সরকার (৪০)। আহত ১৫জনের মধ্যে ২জনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সোমবার সকাল থেকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। সকাল সোয়া ১১টার দিকে নৌকা সমর্থিত স্থানীয় কিছু লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা নিয়ে উস্কানি মূলক কথা বলে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথম দফার সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করে।
৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম অভিযোগ করেন- স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন প্রতিদিন দলবল নিয়ে প্রচারণার নামে মাঠে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছে। সোমবার আমার ওয়ার্ডে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র ও বহিরাগত লোকজনসহ গাড়িবহর নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। আমার ভাই কালাম রিক্সা যোগে চান্দিনা যাওয়ার সময় তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
অপর দিকে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন অভিযোগ করে বলেন- আমি গণসংযোগ করতে ছায়কোট এলাকায় পৌঁছলে ছালাম কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে নৌকার লোকজন আমার নেতা-কর্মীর উপর হামলা চালায়। এসময় আমাকেও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এতে আমার নেতা-কর্মী আহত হয়।
আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থী শওকত হোসেন ভূইয়া জানান- স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন প্রতিদিন গাড়ি বহর নিয়ে গণসংযোগের নামে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। আর যেখানেই নৌকা সমর্থিত লোকজন পাচ্ছেন তাদেরকে মারধর করছেন।
চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামস্উদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- মূলত মেয়র প্রার্থীরা যেখানে গণসংযোগে যাবেন তার একটি তালিকা পূর্বেই থানায় দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা সেটা করেন না। সোমবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ পর্যন্ত কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেননি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page